بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَـٰنِ ٱلرَّحِيمِ
নিচের ▶ বাটনে ক্লিক করুনদয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহ্র নামে,
اَلَّذِيۡنَ كَفَرُوۡا وَصَدُّوۡا عَنۡ سَبِيۡلِ اللّٰهِ اَضَلَّ اَعۡمَالَهُمۡ ﴿۱﴾
৪৭-১ : যাহারা কুফরী করে এবং অপরকে আল্লাহ্র পথ হইতে নিবৃত্ত করে তিনি তাহাদের কর্ম ব্যর্থ করিয়া দেন।
وَالَّذِيۡنَ اٰمَنُوۡا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَاٰمَنُوۡا بِمَا نُزِّلَ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّهُوَ الۡحَقُّ مِنۡ رَّبِّهِمۡۙ كَفَّرَ عَنۡهُمۡ سَيِّاٰتِهِمۡ وَاَصۡلَحَ بَالَهُمۡ ﴿۲﴾
৪৭-২ : যাহারা ঈমান আনে, সৎকর্ম করে এবং মুহাম্মাদের প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে তাহাতে বিশ্বাস করে, আর উহাই তাহাদের প্রতিপালক হইতে প্রেরিত সত্য, তিনি তাহাদের মন্দ কর্মগুলি বিদূরিত করিবেন এবং তাহাদের অবস্থা ভাল করিবেন।
ذٰ لِكَ بِاَنَّ الَّذِيۡنَ كَفَرُوۡا اتَّبَعُوا الۡبَاطِلَ وَاَنَّ الَّذِيۡنَ اٰمَنُوا اتَّبَعُوا الۡحَقَّ مِنۡ رَّبِّهِمۡؕ كَذٰلِكَ يَضۡرِبُ اللّٰهُ لِلنَّاسِ اَمۡثَالَهُمۡ ﴿۳﴾
৪৭-৩ : ইহা এইজন্য যে, যাহারা কুফরী করে তাহারা মিথ্যার অনুসরণ করে এবং যাহারা ঈমান আনে তাহারা তাহাদের প্রতিপালক - প্রেরিত সত্যের অনুসরণ করে। এইভাবে আল্লাহ্ মানুষের জন্য তাহাদের দৃষ্টান্ত প্রদান করেন।
فَاِذَا لَقِيۡتُمُ الَّذِيۡنَ كَفَرُوۡا فَضَرۡبَ الرِّقَابِ ؕ حَتّٰٓى اِذَاۤ اَثۡخَنۡتُمُوۡهُمۡ فَشُدُّوۡا الۡوَثَاقَ ۙ فَاِمَّا مَنًّۢا بَعۡدُ وَاِمَّا فِدَآءً حَتّٰى تَضَعَ الۡحَـرۡبُ اَوۡزَارَهَا ۛۚ ذٰ لِكَ ۛؕ وَلَوۡ يَشَآءُ اللّٰهُ لَانْـتَصَرَ مِنۡهُمۡ وَلٰـكِنۡ لِّيَبۡلُوَا۟ بَعۡضَكُمۡ بِبَعۡضٍؕ وَالَّذِيۡنَ قُتِلُوۡا فِىۡ سَبِيۡلِ اللّٰهِ فَلَنۡ يُّضِلَّ اَعۡمَالَهُمۡ﴿۴﴾
৪৭-৪ : অতএব যখন তোমরা কাফিরদের সঙ্গে যুদ্ধে মুকাবিলা কর তখন তাহাদের গর্দানে আঘাত কর, পরিশেষে যখন তোমরা উহাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পরাভূত করিবে তখন উহাদেরকে কষিয়া বাঁধিবে ; অতঃপর হয় অনুকম্পা, নয় মুক্তিপণ। তোমরা জিহাদ চালাইবে যতক্ষণ না যুদ্ধ ইহার অস্ত্র নামাইয়া ফেলে। ইহাই বিধান। ইহা এইজন্য যে, আল্লাহ্ ইচ্ছা করিলে উহাদেরকে শাস্তি দিতে পারিতেন, কিন্তু তিনি চাহেন তোমাদের একজনকে অপরের দ্বারা পরীক্ষা করিতে। যাহারা আল্লাহ্র পথে নিহত হয় তিনি কখনও তাহাদের র্কম বিনষ্ট হইতে দেন না।
سَيَهۡدِيۡهِمۡ وَيُصۡلِحُ بَالَهُمۡۚ﴿۵﴾
৪৭-৫ : তিনি তাহাদেরকে সৎপথে পরিচালিত করেন এবং তাহাদের অবস্থা ভাল করিয়া দেন।
وَيُدۡخِلُهُمُ الۡجَـنَّةَ عَرَّفَهَا لَهُمۡ ﴿۶﴾
৪৭-৬ : তিনি তাহাদেরকে দাখিল করিবেন জান্নাতে, যাহার কথা তিনি তাহাদেরকে জানাইয়াছিলেন।
يٰۤـاَيُّهَا الَّذِيۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِنۡ تَـنۡصُرُوا اللّٰهَ يَنۡصُرۡكُمۡ وَيُثَبِّتۡ اَقۡدَامَكُمۡ﴿۷﴾
৪৭-৭ : হে মু’মিনগণ ! যদি তোমরা আল্লাহ্কে সাহায্য কর, আল্লাহ্ তোমাদেরকে সাহায্য করিবেন এবং তোমাদের অবস্থান দৃঢ় করিবেন।
وَالَّذِيۡنَ كَفَرُوۡا فَتَعۡسًا لَّهُمۡ وَاَضَلَّ اَعۡمَالَهُمۡ ﴿۸﴾
৪৭-৮ : যাহারা কুফরী করিয়াছে তাহাদের জন্য রহিয়াছে দুর্ভোগ এবং তিনি তাহাদের কর্ম ব্যর্থ করিয়া দিবেন।
ذٰلِكَ بِاَنَّهُمۡ كَرِهُوۡا مَاۤ اَنۡزَلَ اللّٰهُ فَاَحۡبَطَ اَعۡمَالَهُمۡ ﴿۹﴾
৪৭-৯ : ইহা এইজন্য যে, আল্লাহ্ যাহা অবতীর্ণ করিয়াছেন উহারা তাহা অপসন্দ করে। সুতরাং আল্লাহ্ উহাদের কর্ম নিষ্ফল করিয়া দিবেন।
اَفَلَمۡ يَسِيۡرُوۡا فِى الۡاَرۡضِ فَيَنۡظُرُوۡا كَيۡفَ كَانَ عَاقِبَةُ الَّذِيۡنَ مِنۡ قَبۡلِهِمۡؕ دَمَّرَ اللّٰهُ عَلَيۡهِمۡ وَلِلۡكٰفِرِيۡنَ اَمۡثَالُهَا ﴿۱۰﴾
৪৭-১০ : উহারা কি পৃথিবীতে পরিভ্রমণ করে নাই এবং দেখে নাই উহাদের পূর্ববর্তীদের পরিণাম কি হইয়াছে? আল্লাহ্ উহাদেরকে ধ্বংস করিয়াছেন এবং কাফিরদের জন্য রহিয়াছে অনুরূপ পরিণাম।
ذٰ لِكَ بِاَنَّ اللّٰهَ مَوۡلَى الَّذِيۡنَ اٰمَنُوۡا وَاَنَّ الۡكٰفِرِيۡنَ لَا مَوۡلٰى لَهُمۡ﴿۱۱﴾
৪৭-১১ : ইহা এইজন্য যে, আল্লাহ্ তো মু’মিনদের অভিভাবক এবং কাফিরদের তো কোন অভিভাবকই নাই।
اِنَّ اللّٰهَ يُدۡخِلُ الَّذِيۡنَ اٰمَنُوۡا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ جَنّٰتٍ تَجۡرِىۡ مِنۡ تَحۡتِهَا الۡاَنۡهٰرُ ؕ وَالَّذِيۡنَ كَفَرُوۡا يَتَمَتَّعُوۡنَ وَيَاۡكُلُوۡنَ كَمَا تَاۡكُلُ الۡاَنۡعَامُ وَالنَّارُ مَثۡوًى لَّهُمۡ﴿۱۲﴾
৪৭-১২ : যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ্ তাহাদেরকে দাখিল করিবেন জান্নাতে যাহার নিম্নদেশে নদী প্রবাহিত; কিন্তু যাহারা কুফরী করে উহারা ভোগ - বিলাসে মত্ত থাকে এবং জন্তু - জানোয়ারের মত উদর পূর্তি করে; আর জাহান্নামই উহাদের নিবাস।
وَكَاَيِّنۡ مِّنۡ قَرۡيَةٍ هِىَ اَشَدُّ قُوَّةً مِّنۡ قَرۡيَتِكَ الَّتِىۡۤ اَخۡرَجَتۡكَۚ اَهۡلَكۡنٰهُمۡ فَلَا نَاصِرَ لَهُمۡ ﴿۱۳﴾
৪৭-১৩ : উহারা তোমার যে জনপদ হইতে তোমাকে বিতাড়িত করিয়াছে তাহা অপেক্ষা অতি শক্তিশালী কত জনপদ ছিল; আমি উহাদেরকে ধ্বংস করিয়াছি এবং উহাদের সাহায্যকারী কেহ ছিল না।
اَفَمَنۡ كَانَ عَلٰى بَيِّنَةٍ مِّنۡ رَّبِّهٖ كَمَنۡ زُيِّنَ لَهٗ سُوۡٓءُ عَمَلِهٖ وَاتَّبَعُوۡۤا اَهۡوَآءَهُمۡ﴿۱۴﴾
৪৭-১৪ : যে ব্যক্তি তাহার প্রতিপালক - প্রেরিত সুস্পষ্ট প্রমাণের উপর প্রতিষ্ঠিত, সে কি তাহার ন্যায়, যাহার নিকট নিজের মন্দ কর্মগুলি শোভন প্রতীয়মান হয় এবং যাহারা নিজ খেয়াল - খুশির অনুসরণ করে?
مَثَلُ الۡجَـنَّةِ الَّتِىۡ وُعِدَ الۡمُتَّقُوۡنَؕ فِيۡهَاۤ اَنۡهٰرٌ مِّنۡ مَّآءٍ غَيۡرِ اٰسِنٍ ۚ وَاَنۡهٰرٌ مِّنۡ لَّبَنٍ لَّمۡ يَتَغَيَّرۡ طَعۡمُهٗ ۚ وَاَنۡهٰرٌ مِّنۡ خَمۡرٍ لَّذَّةٍ لِّلشّٰرِبِيۡنَ ۚ وَاَنۡهٰرٌ مِّنۡ عَسَلٍ مُّصَفًّى ؕ وَلَهُمۡ فِيۡهَا مِنۡ كُلِّ الثَّمَرٰتِ وَمَغۡفِرَةٌ مِّنۡ رَّبِّهِمۡؕ كَمَنۡ هُوَ خَالِدٌ فِى النَّارِ وَسُقُوۡا مَآءً حَمِيۡمًا فَقَطَّعَ اَمۡعَآءَهُمۡ﴿۱۵﴾
৪৭-১৫ : মুত্তাকীদেরকে যে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হইয়াছে তাহার দৃষ্টান্ত : উহাতে আছে নির্মল পানির নহর, আছে দুধের নহর যাহার স্বাদ অপরিবর্তনীয়, আছে পানকারীদের জন্য সুস্বাদু সুরার নহর, আছে পরিশোধিত মধুর নহর এবং সেখানে উহাদের জন্য থাকিবে বিবিধ ফলমূল আর তাহাদের প্রতিপালকের পক্ষ হইতে ক্ষমা। মুত্তাকীরা কি তাহাদের ন্যায়, যাহারা জাহান্নামে স্থায়ী হইবে এবং যাহাদেরকে পান করিতে দেওয়া হইবে ফুটন্ত পানি যাহা উহাদের নাড়িভুঁড়ি ছিন্ন - বিচ্ছিন্ন করিয়া দিবে?
وَمِنۡهُمۡ مَّنۡ يَّسۡتَمِعُ اِلَيۡكَۚ حَتّٰٓى اِذَا خَرَجُوۡا مِنۡ عِنۡدِكَ قَالُوۡا لِلَّذِيۡنَ اُوۡتُوا الۡعِلۡمَ مَاذَا قَالَ اٰنِفًا اُولٰٓٮِٕكَ الَّذِيۡنَ طَبَعَ اللّٰهُ عَلٰى قُلُوۡبِهِمۡ وَ اتَّبَعُوۡۤا اَهۡوَآءَهُمۡ﴿۱۶﴾
৪৭-১৬ : উহাদের মধ্যে কতক তোমার কথা শ্রবণ করে, অতঃপর তোমার নিকট হইতে বাহির হইয়া যাহারা জ্ঞানপ্রাপ্ত তাহাদেরকে বলে, ‘এইমাত্র সে কী বলিল?’ ইহাদের অন্তর আল্লাহ্ মোহর করিয়া দিয়াছেন এবং উহারা নিজেদের খেয়াল - খুশিরই অনুসরণ করে।
وَالَّذِيۡنَ اهۡتَدَوۡا زَادَهُمۡ هُدًى وَّاٰتٰٮهُمۡ تَقۡوٰٮهُمۡ ﴿۱۷﴾
৪৭-১৭ : যাহারা সৎপথ অবলম্বন করে আল্লাহ্ তাহাদের সৎপথে চলিবার শক্তি বৃদ্ধি করেন এবং তাহাদেরকে মুত্তাকী হইবার শক্তি দান করেন।
فَهَلۡ يَنۡظُرُوۡنَ اِلَّا السَّاعَةَ اَنۡ تَاۡتِيَهُمۡ بَغۡتَةً ۚ فَقَدۡ جَآءَ اَشۡرَاطُهَا ۚ فَاَنّٰى لَهُمۡ اِذَا جَآءَتۡهُمۡ ذِكۡرٰٮهُمۡ ﴿۱۸﴾
৪৭-১৮ : উহারা কি কেবল এইজন্য অপেক্ষা করিতেছে যে, কিয়ামত উহাদের নিকট আসিয়া পড়ুক আকস্মিকভাবে? কিয়ামতের লক্ষণসমূহ তো আসিয়াই পড়িয়াছে। কিয়ামত আসিয়া পড়িলে উহারা উপদেশ গ্রহণ করিবে কেমন করিয়া!
فَاعۡلَمۡ اَنَّهٗ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ وَاسۡتَغۡفِرۡ لِذَنۡۢبِكَ وَلِلۡمُؤۡمِنِيۡنَ وَ الۡمُؤۡمِنٰتِ ؕ وَاللّٰهُ يَعۡلَمُ مُتَقَلَّبَكُمۡ وَمَثۡوٰٮكُمۡ﴿۱۹﴾
৪৭-১৯ : সুতরাং জানিয়া রাখ, আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নাই, ক্ষমা প্রার্থনা কর তোমার এবং মু’মিন নর - নারীদের ত্রুটির জন্য। আল্লাহ্ তোমাদের গতিবিধি এবং অবস্থান সম্বন্ধে সম্যক অবগত আছেন।
وَيَقُوۡلُ الَّذِيۡنَ اٰمَنُوۡا لَوۡلَا نُزِّلَتۡ سُوۡرَةٌ ۚ فَاِذَاۤ اُنۡزِلَتۡ سُوۡرَةٌ مُّحۡكَمَةٌ وَّذُكِرَ فِيۡهَا الۡقِتَالُۙ رَاَيۡتَ الَّذِيۡنَ فِىۡ قُلُوۡبِهِمۡ مَّرَضٌ يَّنۡظُرُوۡنَ اِلَيۡكَ نَظَرَ الۡمَغۡشِىِّ عَلَيۡهِ مِنَ الۡمَوۡتِؕ فَاَوۡلٰى لَهُمۡۚ ﴿۲۰﴾
৪৭-২০ : মু’মিনরা বলে, ‘একটি সূরা অবতীর্ণ হয় না কেন?’ অতঃপর যদি দ্ব্যর্থহীন কোন সূরা অবতীর্ণ হয় এবং উহাতে যুদ্ধের কোন নির্দেশ থাকে তুমি দেখিবে যাহাদের অন্তরে ব্যাধি আছে তাহারা মৃত্যুভয়ে বিহ্বল মানুষের মত তোমার দিকে তাকাইতেছে। শোচনীয় পরিণাম উহাদের।
طَاعَةٌ وَّقَوۡلٌ مَّعۡرُوۡفٌ فَاِذَا عَزَمَ الۡاَمۡرُ فَلَوۡ صَدَقُوا اللّٰهَ لَـكَانَ خَيۡرًا لَّهُمۡۚ ﴿۲۱﴾
৪৭-২১ : আনুগত্য ও ন্যায়সংগত বাক্য উহাদের জন্য উত্তম ছিল; সুতরাং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হইল, যদি উহারা আল্লাহ্র প্রতি পদত্ত অঙ্গীকার পূরণ করিত, তবে তাহাদের জন্য ইহা অবশ্যই মঙ্গলজনক হইত।
فَهَلۡ عَسَيۡتُمۡ اِنۡ تَوَلَّيۡتُمۡ اَنۡ تُفۡسِدُوۡا فِى الۡاَرۡضِ وَتُقَطِّعُوۡۤا اَرۡحَامَكُمۡ ﴿۲۲﴾
৪৭-২২ : তবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হইলে সম্ভবত তোমরা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করিবে এবং আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করিবে।
اُولٰٓٮِٕكَ الَّذِيۡنَ لَعَنَهُمُ اللّٰهُ فَاَصَمَّهُمۡ وَاَعۡمٰٓى اَبۡصَارَهُمۡ ﴿۲۳﴾
৪৭-২৩ : আল্লাহ্ ইহাদেরকেই লা’নত করেন আর করেন বধির ও দৃষ্টিশক্তিহীণ।
اَفَلَا يَتَدَبَّرُوۡنَ الۡقُرۡاٰنَ اَمۡ عَلٰى قُلُوۡبٍ اَ قۡفَالُهَا ﴿۲۴﴾
৪৭-২৪ : তবে কি উহারা কুরআন সম্বন্ধে অভিনিবেশ সহকারে চিন্তা করে না? না উহাদের অন্তর তালাবদ্ধ?
اِنَّ الَّذِيۡنَ ارۡتَدُّوۡا عَلٰٓى اَدۡبَارِهِمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمُ الۡهُدَىۙ الشَّيۡطٰنُ سَوَّلَ لَهُمۡ ؕ وَاَمۡلٰى لَهُمۡ ﴿۲۵﴾
৪৭-২৫ : যাহারা নিজেদের নিকট সৎপথ ব্যক্ত হইবার পর উহা পরিত্যাগ করে, শয়তান উহাদের কাজকে শোভন করিয়া দেখায় এবং উহাদেরকে মিথ্যা আশা দেয়।
ذٰلِكَ بِاَنَّهُمۡ قَالُوۡا لِلَّذِيۡنَ كَرِهُوۡا مَا نَزَّلَ اللّٰهُ سَنُطِيۡعُكُمۡ فِىۡ بَعۡضِ الۡاَمۡرِ ۖۚ وَاللّٰهُ يَعۡلَمُ اِسۡرَارَهُمۡ ﴿۲۶﴾
৪৭-২৬ : ইহা এইজন্য যে, আল্লাহ্ যাহা অবতীর্ণ করিয়াছেন, তাহা যাহারা অপসন্দ করে তাহাদেরকে উহারা বলে, ‘আমরা কোন্ কোন্ বিষয়ে তোমাদের আনুগত্য করিব।’ আল্লাহ্ উহাদের গোপন অভিসন্ধি অবগত আছেন।
فَكَيۡفَ اِذَا تَوَفَّتۡهُمُ الۡمَلٰٓٮِٕكَةُ يَضۡرِبُوۡنَ وُجُوۡهَهُمۡ وَاَدۡبَارَهُمۡ ﴿۲۷﴾
৪৭-২৭ : ফিরিশ্তারা যখন উহাদের মুখমণ্ডলে ও পৃষ্ঠদেশে আঘাত করিতে করিতে প্রাণ হরণ করিবে, তখন উহাদের দশা কেমন হইবে।
ذٰلِكَ بِاَنَّهُمُ اتَّبَعُوۡا مَاۤ اَسۡخَطَ اللّٰهَ وَكَرِهُوۡا رِضۡوَانَهٗ فَاَحۡبَطَ اَعۡمَالَهُمۡ ﴿۲۸﴾
৪৭-২৮ : ইহা এইজন্য যে, উহারা তাহার অনুসরণ করে, যাহা আল্লাহ্র অসন্তোষ জন্মায় এবং তাঁহার সন্তুষ্টিকে অপ্রিয় গণ্য করে ; তিনি ইহাদের কর্ম নিষ্ফল করিয়া দেন।
اَمۡ حَسِبَ الَّذِيۡنَ فِىۡ قُلُوۡبِهِمۡ مَّرَضٌ اَنۡ لَّنۡ يُّخۡرِجَ اللّٰهُ اَضۡغَانَهُمۡ ﴿۲۹﴾
৪৭-২৯ : যাহাদের অন্তরে ব্যাধি আছে তাহারা কি মনে করে যে, আল্লাহ্ কখনো উহাদের বিদ্বেষভাব প্রকাশ করিয়া দিবেন না?
وَلَوۡ نَشَآءُ لَاَرَيۡنٰكَهُمۡ فَلَعَرَفۡتَهُمۡ بِسِيۡمٰهُمۡؕ وَلَتَعۡرِفَنَّهُمۡ فِىۡ لَحۡنِ الۡقَوۡلِؕ وَاللّٰهُ يَعۡلَمُ اَعۡمَالَكُمۡ ﴿۳۰﴾
৪৭-৩০ : আমি ইচ্ছা করিলে তোমাকে উহাদের পরিচয় দিতাম। ফলে তুমি উহাদের লক্ষণ দেখিয়া উহাদেরকে চিনিতে পারিতে, তবে তুমি অবশ্যই কথার ভংগিতে উহাদেরকে চিনিতে পারিবে। আল্লাহ্ তোমাদের র্কম সম্পর্কে অবগত।
وَلَـنَبۡلُوَنَّكُمۡ حَتّٰى نَعۡلَمَ الۡمُجٰهِدِيۡنَ مِنۡكُمۡ وَالصّٰبِرِيۡنَ ۙ وَنَبۡلُوَا۟ اَخۡبَارَكُمۡ﴿۳۱﴾
৪৭-৩১ : আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করিব, যতক্ষণ না আমি জানিয়া লই তোমাদের মধ্যে জিহাদকারী ও ধৈর্যশীলদেরকে এবং আমি তোমাদের ব্যাপারে পরীক্ষা করি।
اِنَّ الَّذِيۡنَ كَفَرُوۡا وَصَدُّوۡا عَنۡ سَبِيۡلِ اللّٰهِ وَشَآقُّوا الرَّسُوۡلَ مِنۡۢ بَعۡدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمُ الۡهُدٰىۙ لَنۡ يَّضُرُّوا اللّٰهَ شَيۡـــًٔا ؕ وَسَيُحۡبِطُ اَعۡمَالَهُمۡ﴿۳۲﴾
৪৭-৩২ : যাহারা কুফরী করে এবং মানুষকে আল্লাহ্র পথ হইতে নিবৃত্ত করে এবং নিজেদের নিকট পথের দিশা ব্যক্ত হইবার পর রাসূলের বিরোধিতা করে, উহারা আল্লাহ্র কোনই ক্ষতি করিতে পারিবে না। তিনি তো তাহাদের কর্ম ব্যর্থ করিবেন।
يٰۤاَيُّهَا الَّذِيۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَطِيۡعُوا اللّٰهَ وَاَطِيۡعُوا الرَّسُوۡلَ وَلَا تُبۡطِلُوۡۤا اَعۡمَالَـكُمۡ﴿۳۳﴾
৪৭-৩৩ : হে মু’মিনগণ ! তোমরা আল্লাহ্র আনুগত্য কর এবং রাসূলের আনুগত্য কর, আর তোমাদের কর্ম বিনষ্ট করিও না।
اِنَّ الَّذِيۡنَ كَفَرُوۡا وَصَدُّوۡا عَنۡ سَبِيۡلِ اللّٰهِ ثُمَّ مَاتُوۡا وَهُمۡ كُفَّارٌ فَلَنۡ يَّغۡفِرَ اللّٰهُ لَهُمۡ ﴿۳۴﴾
৪৭-৩৪ : যাহারা কুফরী করে ও আল্লাহ্র পথ হইতে মানুষকে নিবৃত্ত করে, অতঃপর কাফির অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে, আল্লাহ্ কখনই তাহাদেরকে ক্ষমা করিবেন না।
فَلَا تَهِنُوۡا وَتَدۡعُوۡۤا اِلَى السَّلۡمِۖ وَاَنۡـتُمُ الۡاَعۡلَوۡنَۖ وَاللّٰهُ مَعَكُمۡ وَلَنۡ يَّتِـرَكُمۡ اَعۡمَالَـكُمۡ﴿۳۵﴾
৪৭-৩৫ : সুতরাং তোমরা হীনবল হইও না এবং সন্ধির প্রস্তাব করিও না, তোমরাই প্রবল; আল্লাহ্ তোমাদের সঙ্গে আছেন, তিনি তোমাদের কর্মফল কখনও ক্ষুণ্ন করিবেন না।
اِنَّمَا الۡحَيٰوةُ الدُّنۡيَا لَعِبٌ وَّلَهۡوٌ ؕ وَاِنۡ تُؤۡمِنُوۡا وَتَتَّقُوۡا يُؤۡتِكُمۡ اُجُوۡرَكُمۡ وَلَا يَسۡــَٔــلۡكُمۡ اَمۡوَالَكُمۡ ﴿۳۶﴾
৪৭-৩৬ : পার্থিব জীবন তো কেবল ক্রীড়া - কৌতুক, যদি তোমরা ঈমান আন, তাকওয়া অবলম্বন কর, আল্লাহ্ তোমাদেরকে তোমাদের পুরষ্কার দিবেন এবং তিনি তোমাদের ধন - সম্পদ চান না।
اِنۡ يَّسۡـَٔــلۡكُمُوۡهَا فَيُحۡفِكُمۡ تَبۡخَلُوۡا وَيُخۡرِجۡ اَضۡغَانَكُمۡ ﴿۳۷﴾
৪৭-৩৭ : তোমাদের নিকট হইতে তিনি তাহা চাহিলে ও তজ্জন্য তোমাদের উপর চাপ দিলে তোমরা তো কার্পণ্য করিবে এবং তখন তিনি তোমাদের বিদ্বেষভাব প্রকাশ করিয়া দিবেন।
هٰۤاَنۡـتُمۡ هٰٓؤُلَاۤءِ تُدۡعَوۡنَ لِتُنۡفِقُوۡا فِىۡ سَبِيۡلِ اللّٰهِ ۚ فَمِنۡكُمۡ مَّنۡ يَّبۡخَلُ ۚ وَمَنۡ يَّبۡخَلۡ فَاِنَّمَا يَبۡخَلُ عَنۡ نَّـفۡسِهٖ ؕ وَاللّٰهُ الۡغَنِىُّ وَاَنۡـتُمُ الۡفُقَرَآءُ ۚ وَاِنۡ تَتَوَلَّوۡا يَسۡتَـبۡدِلۡ قَوۡمًا غَيۡرَكُمۡ ۙ ثُمَّ لَا يَكُوۡنُوۡۤا اَمۡثَالَـكُم ﴿۳۸﴾
৪৭-৩৮ : দেখ, তোমরাই তো তাহারা যাহাদেরকে আল্লাহ্র পথে ব্যয় করিতে বলা হইতেছে অথচ তোমাদের অনেকে কৃপণতা করিতেছে। যাহারা কার্পণ্য করে তাহারা তো কার্পণ্য করে নিজেদেরই প্রতি। আল্লাহ্ অভাবমুক্ত এবং তোমরা অভাবগ্রস্ত। যদি তোমরা বিমুখ হও, তিনি অন্য জাতিকে তোমাদের স্থলবর্তী করিবেন; তাহারা তোমাদের মত হইবে না।