দয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহ্র নামে,
নিচের ▶ বাটনে ক্লিক করুন৬৬-১ : হে নবী ! আল্লাহ্ তোমার জন্য যাহা বৈধ করিয়াছেন তুমি তাহা নিষিদ্ধ করিতেছ কেন? তুমি তোমার স্ত্রীদের সন্তুষ্টি চাহিতেছ ; আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
৬৬-২ : আল্লাহ্ তোমাদের কসম হইতে মুক্তি লাভের ব্যবস্থা করিয়াছেন, আল্লাহ্ তোমাদের কর্মবিধায়ক, তিনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
৬৬-৩ : স্মরণ কর - নবী তাহার স্ত্রীদের একজনকে গোপনে একটি কথা বলিয়াছিল। অতঃপর যখন সে উহা অন্যকে বলিয়া দিয়াছিল এবং আল্লাহ্ নবীকে উহা জানাইয়া দিয়াছিলেন, তখন নবী এই বিষয়ে কিছু ব্যক্ত করিল এবং কিছু অব্যক্ত রাখিল। যখন নবী উহা তাহার সেই স্ত্রীকে জানাইল তখন সে বলিল, ‘কে আপনাকে ইহা অবহিত করিল?’ নবী বলিল, ‘আমাকে অবহিত করিয়াছেন তিনি, যিনি সর্বজ্ঞ, সম্যক অবগত।’
৬৬-৪ : যদি তোমরা উভয়ে অনুতপ্ত হইয়া আল্লাহ্র দিকে প্রত্যাবর্তন কর তবে ভাল, কারণ তোমাদের হৃদয় তো ঝুঁকিয়া পড়িয়াছে। কিন্তু তোমরা যদি নবীর বিরুদ্ধে একে অপরের পোষকতা কর তবে জানিয়া রাখ, আল্লাহ্ তাহার বন্ধু এবং জিব্রাঈল ও সৎকর্মপরায়ণ মু’মিনগণও, তাহা ছাড়া অন্যান্য ফিরিশ্তাও তাহার সাহায্যকারী।
৬৬-৫ : যদি নবী তোমাদের সকলকে পরিত্যাগ করে তবে তাহার প্রতিপালক সম্ভবত তোমাদের স্থলে তাহাকে দিবেন তোমাদের অপেক্ষা উৎকৃষ্টতর স্ত্রী - যাহারা হইবে আত্মসর্মপণকারী, বিশ্বাসী, অনুগত, তওবাকারী, ‘ইবাদতকারী, সিয়াম পালনকারী, অকুমারী এবং কুমারী।
৬৬-৬ : হে মু’মিনগণ ! তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার - পরিজনকে রক্ষা কর দোযখ হইতে, যাহার ইন্ধন হইবে মানুষ ও প্রস্তর, যাহাতে নিয়োজিত আছে নির্মমহৃদয়, কঠোরস্বভাব ফিরিশ্তাগণ, যাহারা অমান্য করে না তাহা, যাহা আল্লাহ্ তাহাদেরকে আদেশ করেন। আর তাহারা যাহা করিতে আদিষ্ট হয় তাহাই করে।
৬৬-৭ : হে কাফিরগণ ! আজ তোমরা দোষ স্খালনের চেষ্টা করিও না। তোমরা যাহা করিতে তোমাদেরকে তাহারই প্রতিফল দেওয়া হইবে।
৬৬-৮ : হে মু’মিনগণ ! তোমরা আল্লাহ্র নিকট তওবা কর - বিশুদ্ধ তওবা ; তাহা হইলে তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের মন্দ কর্মগুলি মোচন করিয়া দিবেন এবং তোমাদেরকে দাখিল করিবেন জান্নাতে, যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। সেই দিন আল্লাহ্ লজ্জা দিবেন না নবীকে এবং তাহার মু’মিন সঙ্গীদেরকে, তাহাদের জ্যোতি তাহাদের সম্মুখে ও দক্ষিণ পার্শ্বে ধাবিত হইবে। তাহারা বলিবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের জ্যোতিকে পূর্ণতা দান কর এবং আমাদেরকে ক্ষমা কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।’
৬৬-৯ : হে নবী! কাফির ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ কর এবং উহাদের প্রতি কঠোর হও। উহাদের আশ্রয়স্থল জাহান্নাম, উহা কত নিকৃষ্ট প্রত্যাবর্তনস্থল।
৬৬-১০ : আল্লাহ কাফিরদের জন্য সূরা নূহের স্ত্রী ও লূতের স্ত্রীর দৃষ্টান্ত দিতেছেন, উহারা ছিল আমার বান্দাদের মধ্যে দুই সৎকর্মপরায়ণ বান্দার অধীন। কিন্তু উহারা তাহাদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করিয়াছিল। ফলে সূরা নূহ্ ও লূত উহাদেরকে আল্লাহ্র শাস্তি হইতে রক্ষা করিতে পারিল না এবং উহাদেরকে বলা হইল, ‘তোমরা উভয়ে প্রবেশকারীদের সঙ্গে জাহান্নামে প্রবেশ কর।’
৬৬-১১ : আল্লাহ্ মু’মিনদের জন্য দিতেছেন ফির‘আওন পত্নীর দৃষ্টান্ত, যে প্রার্থনা করিয়াছিল : ‘হে আমার প্রতিপালক! তোমার সন্নিধানে জান্নাতে আমার জন্য একটি গৃহ নির্মাণ করিও এবং আমাকে উদ্ধার কর ফিরা‘আওন ও তাহার দুষ্কৃতি হইতে এবং আমাকে উদ্ধার কর জালিম সম্প্রদায় হইতে।’
৬৬-১২ : আরও দুষ্টান্ত দিতেছেন ইমরান - তনয়া মার্ইয়ামের - যে তাহার সতীত্ব রক্ষা করিয়াছিল, ফলে আমি তাহার মধ্যে রূহ্ ফুঁকিয়া দিয়াছিলাম এবং সে তাহার প্রতিপালকের বাণী ও তাঁহার কিতাবসমূহ সত্য বলিয়া গ্রহণ করিয়াছিল, সে ছিল অনুগতদের অন্যতম।