بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَـٰنِ ٱلرَّحِيمِ
নিচের ▶ বাটনে ক্লিক করুনদয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহ্র নামে,
نٓ وَالۡقَلَمِ وَمَا يَسۡطُرُوۡنَۙ﴿۱﴾
৬৮-১ : নূন - শপথ কলমের এবং উহারা যাহা লিপিবদ্ধ করে তাহার,
مَاۤ اَنۡتَ بِـنِعۡمَةِ رَبِّكَ بِمَجۡنُوۡنٍۚ﴿۲﴾
৬৮-২ : তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহে তুমি উন্মাদ নও।
وَاِنَّ لَڪَ لَاَجۡرًا غَيۡرَ مَمۡنُوۡنٍۚ﴿۳﴾
৬৮-৩ : তোমার জন্য অবশ্যই রহিয়াছে নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার,
وَاِنَّكَ لَعَلٰى خُلُقٍ عَظِيۡمٍ﴿۴﴾
৬৮-৪ : তুমি অবশ্যই মহান চরিত্রে অধিষ্ঠিত।
فَسَتُبۡصِرُ وَيُبۡصِرُوۡنَۙ﴿۵﴾
৬৮-৫ : শীঘ্রই তুমি দেখিবে এবং উহারাও দেখিবে -
بِاَيِّٮكُمُ الۡمَفۡتُوۡنُ﴿۶﴾
৬৮-৬ : তোমাদের মধ্যে কে বিকারগ্রস্ত।
اِنَّ رَبَّكَ هُوَ اَعۡلَمُ بِمَنۡ ضَلَّ عَنۡ سَبِيۡلِهٖ وَهُوَ اَعۡلَمُ بِالۡمُهۡتَدِيۡنَ﴿۷﴾
৬৮-৭ : তোমার প্রতিপালক তো সম্যক অবগত আছেন কে তাঁহার পথ হইতে বিচ্যুত হইয়াছে এবং তিনি সম্যক জানেন তাহাদেরকে, যাহারা সৎপথপ্রাপ্ত।
فَلَا تُطِعِ الۡمُكَذِّبِيۡنَ﴿۸﴾
৬৮-৮ : সুতরাং তুমি মিথ্যাচারীদের অনুসরণ করিও না।
وَدُّوۡا لَوۡ تُدۡهِنُ فَيُدۡهِنُوۡنَ﴿۹﴾
৬৮-৯ : উহারা চায় যে, তুমি নমনীয় হও, তাহা হইলে উহারাও নমনীয় হইবে,
وَلَا تُطِعۡ كُلَّ حَلَّافٍ مَّهِيۡنٍۙ﴿۱۰﴾
৬৮-১০ : এবং অনুসরণ করিও না তাহার - যে কথায় কথায় শপথ করে, যে লাঞ্ছিত,
هَمَّازٍ مَّشَّآءٍۢ بِنَمِيۡمٍۙ﴿۱۱﴾
৬৮-১১ : পশ্চাতে নিন্দাকারী, যে একের কথা অপরের নিকট লাগাইয়া বেড়ায়,
مَّنَّاعٍ لِّلۡخَيۡرِ مُعۡتَدٍ اَثِيۡمٍۙ﴿۱۲﴾
৬৮-১২ : যে কল্যাণের কার্যে বাধা দান করে, যে সীমালংঘনকারী, পাপিষ্ঠ,
عُتُلٍّ ۢ بَعۡدَ ذٰلِكَ زَنِيۡمٍۙ﴿۱۳﴾
৬৮-১৩ : রূঢ় স্বভাব, তদুপরি কুখ্যাত ;
اَنۡ كَانَ ذَا مَالٍ وَّبَنِيۡنَؕ﴿۱۴﴾
৬৮-১৪ : এইজন্য যে, সে ধন - সম্পদ ও সন্তান - সন্ততিতে সমৃদ্ধিশালী।
اِذَا تُتۡلٰى عَلَيۡهِ اٰيٰتُنَا قَالَ اَسَاطِيۡرُ الۡاَوَّلِيۡنَ﴿۱۵﴾
৬৮-১৫ : উহার নিকট আমার আয়াতসমূহ আবৃত্তি করা হইলে সে বলে, ‘ইহা তো সেকালের উপকথা মাত্র।’
سَنَسِمُهٗ عَلَى الۡخُـرۡطُوۡمِ﴿۱۶﴾
৬৮-১৬ : আমি উহার শুঁড় দাগাইয়া দিব।
اِنَّا بَلَوۡنٰهُمۡ كَمَا بَلَوۡنَاۤ اَصۡحٰبَ الۡجَـنَّةِ ۚ اِذۡ اَقۡسَمُوۡا لَيَصۡرِمُنَّهَا مُصۡبِحِيۡنَۙ ﴿۱۷﴾
৬৮-১৭ : আমি উহাদেরকে পরীক্ষা করিয়াছি, যেভাবে পরীক্ষা করিয়াছিলাম উদ্যান - অধিপতিগণকে, যখন উহারা শপথ করিয়াছিল যে, উহারা প্রত্যূষে আহরণ করিবে বাগানের ফল,
وَلَا يَسۡتَثۡنُوۡنَ﴿۱۸﴾
৬৮-১৮ : এবং তাহারা ‘ইন্শাআল্লাহ্’ বলে নাই।
فَطَافَ عَلَيۡهَا طَآٮِٕفٌ مِّنۡ رَّبِّكَ وَهُمۡ نَآٮِٕمُوۡنَ﴿۱۹﴾
৬৮-১৯ : অতঃপর তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে এক বিপর্যয় হানা দিল সেই উদ্যানে, যখন উহারা ছিল নিদ্রিত।
فَاَصۡبَحَتۡ كَالصَّرِيۡمِۙ﴿۲۰﴾
৬৮-২০ : ফলে উহা দগ্ধ হইয়া কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করিল।
فَتَـنَادَوۡا مُصۡبِحِيۡنَۙ﴿۲۱﴾
৬৮-২১ : প্রত্যূষে উহারা একে অপরকে ডাকিয়া বলিল,
اَنِ اغۡدُوۡا عَلٰى حَرۡثِكُمۡ اِنۡ كُنۡتُمۡ صٰرِمِيۡنَ﴿۲۲﴾
৬৮-২২ : ‘তোমরা যদি ফল আহরণ করিতে চাও তবে সকাল সকাল বাগানে চল।’
فَانۡطَلَقُوۡا وَهُمۡ يَتَخَافَتُوۡنَۙ ﴿۲۳﴾
৬৮-২৩ : অতঃপর উহারা চলিল নিম্নস্বরে কথা বলিতে বলিতে,
اَنۡ لَّا يَدۡخُلَنَّهَا الۡيَوۡمَ عَلَيۡكُمۡ مِّسۡكِيۡنٌۙ﴿۲۴﴾
৬৮-২৪ : ‘অদ্য যেন তোমাদের নিকটে কোন অভাবগ্রস্ত ব্যক্তি উহাতে প্রবেশ করিতে না পারে।’
وَّغَدَوۡا عَلٰى حَرۡدٍ قٰدِرِيۡنَ ﴿۲۵﴾
৬৮-২৫ : অতঃপর উহারা নিবৃত্ত করিতে সক্ষম - এই বিশ্বাস লইয়া প্রভাতকালে বাগানে যাত্রা করিল।
فَلَمَّا رَاَوۡهَا قَالُوۡۤا اِنَّا لَـضَآلُّوۡنَۙ﴿۲۶﴾
৬৮-২৬ : অতঃপর উহারা যখন বাগানের অবস্থা প্রত্যক্ষ করিল, তখন বলিল, ‘আমরা তো দিশা হারাইয়া ফেলিয়াছি।
بَلۡ نَحۡنُ مَحۡرُوۡمُوۡنَ﴿۲۷﴾
৬৮-২৭ : ‘বরং আমরা তো বঞ্চিত।’
قَالَ اَوۡسَطُهُمۡ اَلَمۡ اَقُلۡ لَّكُمۡ لَوۡلَا تُسَبِّحُوۡنَ ﴿۲۸﴾
৬৮-২৮ : উহাদের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি বলিল, ‘আমি কি তোমাদেরকে বলি নাই ? এখনও তোমরা আল্লাহ্র পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করিতেছ না কেন ?’
قَالُوۡا سُبۡحٰنَ رَبِّنَاۤ اِنَّا كُنَّا ظٰلِمِيۡنَ﴿۲۹﴾
৬৮-২৯ : তখন উহারা বলিল, ‘আমরা আমাদের প্রতিপালকের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করিতেছি, আমরা তো সীমালংঘনকারী ছিলাম।’
فَاَقۡبَلَ بَعۡضُهُمۡ عَلٰى بَعۡضٍ يَّتَلَاوَمُوۡنَ﴿۳۰﴾
৬৮-৩০ : অতঃপর উহারা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করিতে লাগিল।
قَالُوۡا يٰوَيۡلَنَاۤ اِنَّا كُنَّا طٰغِيۡنَ﴿۳۱﴾
৬৮-৩১ : উহারা বলিল, ‘হায়, দুর্ভোগ আমাদের ! আমরা তো ছিলাম সীমালংঘনকারী।
عَسٰى رَبُّنَاۤ اَنۡ يُّبۡدِلَـنَا خَيۡرًا مِّنۡهَاۤ اِنَّاۤ اِلٰى رَبِّنَا رٰغِبُوۡنَ﴿۳۲﴾
৬৮-৩২ : সম্ভবত আমাদের প্রতিপালক ইহা হইতে আমাদেরকে উৎকৃষ্টতর বিনিময় দিবেন, আমরা আমাদের প্রতিপালকের অভিমুখী হইলাম।’
كَذٰلِكَ الۡعَذَابُؕ وَلَعَذَابُ الۡاٰخِرَةِ اَكۡبَرُ ۘ لَوۡ كَانُوۡا يَعۡلَمُوۡنَ﴿۳۳﴾
৬৮-৩৩ : শাস্তি এইরূপই হইয়া থাকে এবং আখিরাতের শাস্তি কঠিনতর। যদি উহারা জানিত।
اِنَّ لِلۡمُتَّقِيۡنَ عِنۡدَ رَبِّهِمۡ جَنّٰتِ النَّعِيۡمِ﴿۳۴﴾
৬৮-৩৪ : মুত্তাকীদের জন্য অবশ্যই রহিয়াছে ভোগ - বিলাসপূর্ণ জান্নাত তাহাদের প্রতিপালকের নিকট।
اَفَنَجۡعَلُ الۡمُسۡلِمِيۡنَ كَالۡمُجۡرِمِيۡنَؕ﴿۳۵﴾
৬৮-৩৫ : আমি কি আত্মসমর্পণ - কারীদেরকে অপরাধীদের সমতুল্য গণ্য করিব?
مَا لَـكُمۡ كَيۡفَ تَحۡكُمُوۡنَۚ﴿۳۶﴾
৬৮-৩৬ : তোমাদের কী হইয়াছে, তোমরা এ কেমন সিদ্ধান্ত দিতেছ?
اَمۡ لَـكُمۡ كِتٰبٌ فِيۡهِ تَدۡرُسُوۡنَۙ﴿۳۷﴾
৬৮-৩৭ : তোমাদের নিকট কী কোন কিতাব আছে যাহাতে তোমরা অধ্যয়ন কর -
اِنَّ لَـكُمۡ فِيۡهِ لَمَا تَخَيَّرُوۡنَۚ﴿۳۸﴾
৬৮-৩৮ : যে, তোমাদের জন্য উহাতে রহিয়াছে যাহা তোমরা পসন্দ কর?
اَمۡ لَـكُمۡ اَيۡمَانٌ عَلَيۡنَا بَالِغَةٌ اِلٰى يَوۡمِ الۡقِيٰمَةِ ۙ اِنَّ لَـكُمۡ لَمَا تَحۡكُمُوۡنَۚ﴿۳۹﴾
৬৮-৩৯ : তোমাদের কি আমার সঙ্গে কিয়ামত পর্যন্ত বলবৎ এমন কোন অঙ্গীকার রহিয়াছে যে, তোমরা নিজেদের জন্য যাহা স্থির করিবে তাহাই পাইবে?
سَلۡهُمۡ اَيُّهُمۡ بِذٰلِكَ زَعِيۡمٌ ۛۚ﴿۴۰﴾
৬৮-৪০ : তুমি উহাদেরকে জিজ্ঞাসা কর উহাদের মধ্যে এই দাবির যিম্মাদার কে?
اَمۡ لَهُمۡ شُرَكَآءُ ۛۚ فَلۡيَاۡتُوۡا بِشُرَكَآٮِٕهِمۡ اِنۡ كَانُوۡا صٰدِقِيۡنَ﴿۴۱﴾
৬৮-৪১ : উহাদের কি কোন দেব - দেবী আছে? থাকিলে উহারা উহাদের দেব - দেবীগুলিকে উপস্থিত করুক - যদি উহারা সত্যবাদী হয়।
يَوۡمَ يُكۡشَفُ عَنۡ سَاقٍ وَّيُدۡعَوۡنَ اِلَى السُّجُوۡدِ فَلَا يَسۡتَطِيۡعُوۡنَۙ﴿۴۲﴾
৬৮-৪২ : স্মরণ কর সেই দিনের কথা, যেদিন পায়ের গোছা উন্মোচিত করা হইবে, সেই দিন উহাদেরকে আহ্বান করা হইবে সিজ্দা করিবার জন্য কিন্তু উহারা সক্ষম হইবে না;
خَاشِعَةً اَبۡصَارُهُمۡ تَرۡهَقُهُمۡ ذِلَّةٌ ؕ وَقَدۡ كَانُوۡا يُدۡعَوۡنَ اِلَى السُّجُوۡدِ وَهُمۡ سٰلِمُوۡنَ﴿۴۳﴾
৬৮-৪৩ : উহাদের দৃষ্টি অবনত, হীনতা উহাদেরকে আচ্ছন্ন করিবে অথচ যখন উহারা নিরাপদ ছিল তখন তো উহাদেরকে আহ্বান করা হইয়াছিল সিজ্দা করিতে।
فَذَرۡنِىۡ وَمَنۡ يُّكَذِّبُ بِهٰذَا الۡحَـدِيۡثِؕ سَنَسۡتَدۡرِجُهُمۡ مِّنۡ حَيۡثُ لَا يَعۡلَمُوۡنَۙ﴿۴۴﴾
৬৮-৪৪ : ছাড়িয়া দাও আমাকে এবং যাহারা এই বাণীকে প্রত্যাখ্যান করে তাহাদেরকে, আমি উহাদেরকে ক্রমে ক্রমে ধরিব এমনভাবে যে, উহারা জানিতে পারিবে না।
وَاُمۡلِىۡ لَهُمۡؕ اِنَّ كَيۡدِىۡ مَتِيۡنٌ﴿۴۵﴾
৬৮-৪৫ : আর আমি উহাদেরকে সময় দিয়া থাকি, নিশ্চয়ই আমার কৌশল অত্যন্ত বলিষ্ঠ।
اَمۡ تَسۡـَٔـلُهُمۡ اَجۡرًا فَهُمۡ مِّنۡ مَّغۡرَمٍ مُّثۡقَلُوۡنَۚ﴿۴۶﴾
৬৮-৪৬ : তুমি কি উহাদের নিকট পারিশ্রমিক চাহিতেছ যে, তাহা উহাদের কাছে দুর্বহ দণ্ড মনে হয়?
اَمۡ عِنۡدَهُمُ الۡغَيۡبُ فَهُمۡ يَكۡتُبُوۡنَ﴿۴۷﴾
৬৮-৪৭ : উহাদের কি অদৃশ্যের জ্ঞান আছে যে, উহারা তাহা লিখিয়া রাখে।
فَاصۡبِرۡ لِحُكۡمِ رَبِّكَ وَلَا تَكُنۡ كَصَاحِبِ الۡحُوۡتِۘ اِذۡ نَادٰى وَهُوَ مَكۡظُوۡمٌؕ﴿۴۸﴾
৬৮-৪৮ : অতএব তুমি ধৈর্য ধারণ কর তোমার প্রতিপালকের নির্দেশের অপেক্ষায়, তুমি মৎস্য - সহচরের ন্যায় অধৈর্য হইও না, সে বিষাদ - আচ্ছন্ন অবস্থায় কাতর প্রার্থনা করিয়াছিল।
لَوۡلَاۤ اَنۡ تَدٰرَكَهٗ نِعۡمَةٌ مِّنۡ رَّبِّهٖ لَنُبِذَ بِالۡعَرَآءِ وَهُوَ مَذۡمُوۡمٌ﴿۴۹﴾
৬৮-৪৯ : তাহার প্রতিপালকের অনুগ্রহ তাহার নিকট না পৌঁছিলে সে লাঞ্ছিত হইয়া নিক্ষিপ্ত হইত উন্মুক্ত প্রান্তরে।
فَاجۡتَبٰهُ رَبُّهٗ فَجَعَلَهٗ مِنَ الصّٰلِحِيۡنَ﴿۵۰﴾
৬৮-৫০ : পুনরায় তাহার প্রতিপালক তাহাকে মনোনীত করিলেন এবং তাহাকে সৎকর্মপরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত করিলেন।
وَاِنۡ يَّكَادُ الَّذِيۡنَ كَفَرُوۡا لَيُزۡلِقُوۡنَكَ بِاَبۡصَارِهِمۡ لَمَّا سَمِعُوا الذِّكۡرَ وَيَقُوۡلُوۡنَ اِنَّهٗ لَمَجۡنُوۡنٌۘ ﴿۵۱﴾
৬৮-৫১ : কাফিররা যখন কুরআন শ্রবণ করে তখন উহারা যেন উহাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দ্বারা তোমাকে আছড়াইয়া ফেলিবে এবং বলে, ‘এ তো এক পাগল!’
وَمَا هُوَ اِلَّا ذِكۡرٌ لِّلۡعٰلَمِيۡنَ﴿۵۲﴾
৬৮-৫২ : কুরআন তো বিশ্বজগতের জন্য উপদেশ।