بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَـٰنِ ٱلرَّحِيمِ
নিচের ▶ বাটনে ক্লিক করুনদয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহ্র নামে,
اِنَّاۤ اَرۡسَلۡنَا نُوۡحًا اِلٰى قَوۡمِهٖۤ اَنۡ اَنۡذِرۡ قَوۡمَكَ مِنۡ قَبۡلِ اَنۡ يَّاۡتِيَهُمۡ عَذَابٌ اَلِيۡمٌ﴿۱﴾
৭১-১ : সূরা নূহকে আমি প্রেরণ করিয়াছিলাম তাহার সম্প্রদায়ের প্রতি এই নির্দেশসহ : তুমি তোমার সম্প্রদায়কে সতর্ক কর তাহাদের প্রতি মর্মন্তুদ শাস্তি আসিবার পূর্বে।
قَالَ يٰقَوۡمِ اِنِّىۡ لَـكُمۡ نَذِيۡرٌ مُّبِيۡنٌۙ﴿۲﴾
৭১-২ : সে বলিয়াছিল, ‘হে আমার সম্প্রদায় ! আমি তো তোমাদের জন্য স্পষ্ট সতর্ককারী -
اَنِ اعۡبُدُوا اللّٰهَ وَاتَّقُوۡهُ وَاَطِيۡعُوۡنِۙ ﴿۳﴾
৭১-৩ : ‘এই বিষয়ে যে, ‘তোমরা আল্লাহ্র ‘ইবাদত কর ও তাঁহাকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর ;
يَغۡفِرۡ لَـكُمۡ مِّنۡ ذُنُوۡبِكُمۡ وَيُؤَخِّرۡكُمۡ اِلٰٓى اَجَلٍ مُّسَمًّىؕ اِنَّ اَجَلَ اللّٰهِ اِذَا جَآءَ لَا يُؤَخَّرُۘ لَوۡ كُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ﴿۴﴾
৭১-৪ : ‘তিনি তোমাদের পাপ ক্ষমা করিবেন এবং তিনি তোমাদেরকে অবকাশ দিবেন এক নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত। নিশ্চয় আল্লাহ্ কর্তৃক নির্ধারিত কাল উপস্থিত হইলে উহা বিলম্বিত হয় না; যদি তোমরা ইহা জানিতে !’
قَالَ رَبِّ اِنِّىۡ دَعَوۡتُ قَوۡمِىۡ لَيۡلًا وَّنَهَارًا ۙ﴿۵﴾
৭১-৫ : সে বলিয়াছিল, ‘হে আমার প্রতিপালক ! আমি তো আমার সম্প্রদায়কে দিবারাত্রি আহ্বান করিয়াছি,
فَلَمۡ يَزِدۡهُمۡ دُعَآءِىۡۤ اِلَّا فِرَارًا﴿۶﴾
৭১-৬ : ‘কিন্তু আমার আহবান উহাদের পলায়ন প্রবণতাই বৃদ্ধি করিয়াছে।
وَاِنِّىۡ كُلَّمَا دَعَوۡتُهُمۡ لِتَغۡفِرَ لَهُمۡ جَعَلُوۡۤا اَصَابِعَهُمۡ فِىۡۤ اٰذَانِهِمۡ وَاسۡتَغۡشَوۡا ثِيَابَهُمۡ وَاَصَرُّوۡا وَاسۡتَكۡبَرُوا اسۡتِكۡبَارًا ۚ﴿۷﴾
৭১-৭ : ‘আমি যখনই উহাদেরকে আহ্বান করি যাহাতে তুমি উহাদেরকে ক্ষমা কর, উহারা কানে অঙ্গুলী দেয়, বস্ত্রাবৃত করে নিজেদেরকে ও জিদ করিতে থাকে এবং অতিশয় ঔদ্ধত্য প্রকাশ করে।
ثُمَّ اِنِّىۡ دَعَوۡتُهُمۡ جِهَارًا ۙ﴿۸﴾
৭১-৮ : ‘অতঃপর আমি উহাদেরকে আহ্বান করিয়াছি প্রকাশ্যে,
ثُمَّ اِنِّىۡۤ اَعۡلَـنۡتُ لَهُمۡ وَاَسۡرَرۡتُ لَهُمۡ اِسۡرَارًا ۙ﴿۹﴾
৭১-৯ : ‘পরে আমি উচ্চৈঃস্বরে প্রচার করিয়াছি ও উপদেশ দিয়াছি গোপনে।’
فَقُلۡتُ اسۡتَغۡفِرُوۡا رَبَّكُمۡؕ اِنَّهٗ كَانَ غَفَّارًا ۙ﴿۱۰﴾
৭১-১০ : বলিয়াছি, ‘তোমাদের প্রতিপালকের ক্ষমা প্রার্থনা কর, তিনি তো মহাক্ষমাশীল,
يُّرۡسِلِ السَّمَآءَ عَلَيۡكُمۡ مِّدۡرَارًا ۙ﴿۱۱﴾
৭১-১১ : ‘তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত করিবেন,
وَّيُمۡدِدۡكُمۡ بِاَمۡوَالٍ وَّبَنِيۡنَ وَيَجۡعَلۡ لَّـكُمۡ جَنّٰتٍ وَّيَجۡعَلۡ لَّـكُمۡ اَنۡهٰرًا ؕ﴿۱۲﴾
৭১-১২ : ‘তিনি তোমাদেরকে সমৃদ্ধ করিবেন ধন - সম্পদ ও সন্তান - সন্ততিতে এবং তোমাদের জন্য স্থাপন করিবেন উদ্যান ও প্রবাহিত করিবেন নদী - নালা।
مَا لَـكُمۡ لَا تَرۡجُوۡنَ لِلّٰهِ وَقَارًا ۚ﴿۱۳﴾
৭১-১৩ : ‘তোমাদের কি হইয়াছে যে, তোমরা আল্লাহ্র শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করিতে চাহিতেছ না !
وَقَدۡ خَلَقَكُمۡ اَطۡوَارًا﴿۱۴﴾
৭১-১৪ : ‘অথচ তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করিয়াছেন পর্যায়ক্রমে,
اَلَمۡ تَرَوۡا كَيۡفَ خَلَقَ اللّٰهُ سَبۡعَ سَمٰوٰتٍ طِبَاقًا ۙ﴿۱۵﴾
৭১-১৫ : ‘তোমরা কি লক্ষ্য কর নাই, আল্লাহ্ কিভাবে সৃষ্টি করিয়াছেন স্বপ্তস্তরে বিন্যস্ত আকাশমন্ডলী ?
وَّجَعَلَ الۡقَمَرَ فِيۡهِنَّ نُوۡرًا ۙ وَّجَعَلَ الشَّمۡسَ سِرَاجًا﴿۱۶﴾
৭১-১৬ : ‘এবং সেখানে চন্দ্রকে স্থাপন করিয়াছেন আলোরূপে ও সূর্যকে স্থাপন করিয়াছেন প্রদীপরূপে ;
وَاللّٰهُ اَنۡۢبَتَكُمۡ مِّنَ الۡاَرۡضِ نَبَاتًا ۙ﴿۱۷﴾
৭১-১৭ : ‘তিনি তোমাদেরকে উদ্ভূত করিয়াছেন মৃত্তিকা হইতে;
ثُمَّ يُعِيۡدُكُمۡ فِيۡهَا وَيُخۡرِجُكُمۡ اِخۡرَاجًا﴿۱۸﴾
৭১-১৮ : ‘অতঃপর উহাতে তিনি তোমাদেরকে প্রত্যাবৃত্ত করিবেন ও পরে পুনরুত্থিত করিবেন,
وَاللّٰهُ جَعَلَ لَـكُمُ الۡاَرۡضَ بِسَاطًا ۙ﴿۱۹﴾
৭১-১৯ : ‘এবং আল্লাহ্ তোমাদের জন্য ভূমিকে করিয়াছেন বিস্তৃত -
لِّـتَسۡلُكُوۡا مِنۡهَا سُبُلًا فِجَاجًا ﴿۲۰﴾
৭১-২০ : ‘যাহাতে তোমরা চলাফেরা করিতে পার প্রশস্ত পথে।’
قَالَ نُوۡحٌ رَّبِّ اِنَّهُمۡ عَصَوۡنِىۡ وَاتَّبَعُوۡا مَنۡ لَّمۡ يَزِدۡهُ مَالُهٗ وَوَلَدُهٗۤ اِلَّا خَسَارًا ۚ﴿۲۱﴾
৭১-২১ : সূরা নূহ্ বলিয়াছিল, ‘হে আমার প্রতিপালক ! আমার সম্প্রদায় তো আমাকে অমান্য করিয়াছে এবং অনুসরণ করিয়াছে এমন লোকের যাহার ধন - সম্পদ ও সন্তান - সন্ততি তাহার ক্ষতি ব্যতীত আর কিছুই বৃদ্ধি করে নাই।’
وَمَكَرُوۡا مَكۡرًا كُبَّارًا ۚ﴿۲۲﴾
৭১-২২ : আর উহারা ভয়ানক ষড়যন্ত্র করিয়াছিল;
وَ قَالُوۡا لَا تَذَرُنَّ اٰلِهَتَكُمۡ وَلَا تَذَرُنَّ وَدًّا وَّلَا سُوَاعًا ۙ وَّ لَا يَغُوۡثَ وَيَعُوۡقَ وَنَسۡرًا ۚ﴿۲۳﴾
৭১-২৩ : এবং বলিয়াছিল, ‘তোমরা কখনও পরিত্যাগ করিও না তোমাদের দেব - দেবীকে; পরিত্যাগ করিও না ওয়াদ্, সুওয়া‘আ, ইয়াগূছ, ইয়া‘ঊক ও আন্ নাস্রকে।
وَقَدۡ اَضَلُّوۡا كَثِيۡرًا ۚ وَلَا تَزِدِ الظّٰلِمِيۡنَ اِلَّا ضَلٰلًا﴿۲۴﴾
৭১-২৪ : ‘উহারা অনেককে বিভ্রান্ত করিয়াছে; সুতরাং জালিমদের বিভ্রান্তি ব্যতীত আর কিছুই বৃদ্ধি করিও না।’
مِّمَّا خَطِٓيْئٰتِهِمۡ اُغۡرِقُوۡا فَاُدۡخِلُوۡا نَارًا ۙ فَلَمۡ يَجِدُوۡا لَهُمۡ مِّنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ اَنۡصَارًا﴿۲۵﴾
৭১-২৫ : উহাদের অপরাধের জন্য উহাদেরকে নিমজ্জিত করা হইয়াছিল এবং পরে উহাদেরকে দাখিল করা হইয়াছিল দোযখে, অতঃপর উহারা কাহাকেও আল্লাহ্র মুকাবিলায় পায় নাই সাহায্যকারী।
وَ قَالَ نُوۡحٌ رَّبِّ لَا تَذَرۡ عَلَى الۡاَرۡضِ مِنَ الۡكٰفِرِيۡنَ دَيَّارًا﴿۲۶﴾
৭১-২৬ : সূরা নূহ্ আরও বলিয়াছিল, ‘হে আমার প্রতিপালক ! পৃথিবীতে কাফিরগণের মধ্য হইতে কোন গৃহবাসীকে অব্যাহতি দিও না।
اِنَّكَ اِنۡ تَذَرۡهُمۡ يُضِلُّوۡا عِبَادَكَ وَلَا يَلِدُوۡۤا اِلَّا فَاجِرًا كَفَّارًا﴿۲۷﴾
৭১-২৭ : ‘তুমি উহাদেরকে অব্যাহতি দিলে উহারা তোমার বান্দাদেরকে পথভ্রষ্ট করিবে এবং জন্ম দিতে থাকিবে কেবল দুষ্কৃতিকারী ও কাফির।
رَبِّ اغۡفِرۡلِىۡ وَلِـوَالِدَىَّ وَلِمَنۡ دَخَلَ بَيۡتِىَ مُؤۡمِنًا وَّلِلۡمُؤۡمِنِيۡنَ وَالۡمُؤۡمِنٰتِؕ وَلَا تَزِدِ الظّٰلِمِيۡنَ اِلَّا تَبَارًا﴿۲۸﴾
৭১-২৮ : ‘হে আমার প্রতিপালক ! তুমি ক্ষমা কর আমাকে, আমার পিতামাতাকে এবং যাহারা মু’মিন হইয়া আমার গৃহে প্রবেশ করে তাহাদেরকে এবং মু’মিন পুরুষ ও মু’মিন নারীদেরকে ; আর জালিমদের শুধু ধ্বংসই বৃদ্ধি কর।’