بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَـٰنِ ٱلرَّحِيمِ
নিচের ▶ বাটনে ক্লিক করুনদয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহ্র নামে,
يٰۤاَيُّهَا الۡمُزَّمِّلُۙ﴿۱﴾
৭৩-১ : হে বস্ত্রাবৃত!
قُمِ الَّيۡلَ اِلَّا قَلِيۡلًا ۙ﴿۲﴾
৭৩-২ : রাত্রি জাগরণ কর, কিছু অংশ ব্যতীত,
نِّصۡفَهٗۤ اَوِ انْقُصۡ مِنۡهُ قَلِيۡلًا ۙ﴿۳﴾
৭৩-৩ : অর্ধ রাত্রি কিংবা তদপেক্ষা অল্প
اَوۡ زِدۡ عَلَيۡهِ وَرَتِّلِ الۡقُرۡاٰنَ تَرۡتِيۡلًا ؕ﴿۴﴾
৭৩-৪ : অথবা তদপেক্ষা বেশি। আর কুরআন আবৃত্তি কর ধীরে ধীরে ও সুস্পষ্টভাবে;
اِنَّا سَنُلۡقِىۡ عَلَيۡكَ قَوۡلًا ثَقِيۡلًا﴿۵﴾
৭৩-৫ : আমি তোমার প্রতি অবতীর্ণ করিতেছি গুরুভার বাণী।
اِنَّ نَاشِئَةَ الَّيۡلِ هِىَ اَشَدُّ وَطۡـاً وَّاَقۡوَمُ قِيۡلًا ؕ﴿۶﴾
৭৩-৬ : অবশ্য দলনে রাত্রিকালের উত্থান প্রবলতর এবং বাকস্ফুরণে সঠিক।
اِنَّ لَـكَ فِى النَّهَارِ سَبۡحًا طَوِيۡلًا ؕ﴿۷﴾
৭৩-৭ : দিবাভাগে তোমার জন্য রহিয়াছে দীর্ঘ কর্মব্যস্ততা।
وَاذۡكُرِ اسۡمَ رَبِّكَ وَتَبَتَّلۡ اِلَيۡهِ تَبۡتِيۡلًا ؕ﴿۸﴾
৭৩-৮ : সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের নাম স্মরণ কর এবং একনিষ্ঠভাবে তাঁহাতে মগ্ন হও।
رَبُّ الۡمَشۡرِقِ وَالۡمَغۡرِبِ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ فَاتَّخِذۡهُ وَكِيۡلًا﴿۹﴾
৭৩-৯ : তিনি পূর্ব ও পশ্চিমের অধিকর্তা, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নাই; অতএব তাঁহাকেই গ্রহণ কর কর্মবিধায়করূপে।
وَاصۡبِرۡ عَلٰى مَا يَقُوۡلُوۡنَ وَاهۡجُرۡهُمۡ هَجۡرًا جَمِيۡلًا﴿۱۰﴾
৭৩-১০ : লোকে যাহা বলে, তাহাতে তুমি ধৈর্য ধারণ কর এবং সৌজন্য সহকারে উহাদেরকে পরিহার করিয়া চল।
وَذَرۡنِىۡ وَالۡمُكَذِّبِيۡنَ اُولِى النَّعۡمَةِ وَمَهِّلۡهُمۡ قَلِيۡلًا﴿۱۱﴾
৭৩-১১ : ছাড়িয়া দাও আমাকে এবং বিলাস সামগ্রীর অধিকারী সত্য অস্বীকারকারীদেরকে ; আর কিছু কালের জন্য উহাদেরকে অবকাশ দাও,
اِنَّ لَدَيۡنَاۤ اَنۡـكَالًا وَّجَحِيۡمًا ۙ﴿۱۲﴾
৭৩-১২ : আমার নিকট আছে শৃংখল ও প্রজ্বলিত অগ্নি,
وَّطَعَامًا ذَا غُصَّةٍ وَّعَذَابًا اَلِيۡمًا﴿۱۳﴾
৭৩-১৩ : আর আছে এমন খাদ্য, যাহা গলায় আটকাইয়া যায় এবং মর্মন্তুদ শাস্তি।
يَوۡمَ تَرۡجُفُ الۡاَرۡضُ وَالۡجِبَالُ وَكَانَتِ الۡجِبَالُ كَثِيۡبًا مَّهِيۡلًا﴿۱۴﴾
৭৩-১৪ : সেই দিবসে পৃথিবী ও পর্বতমালা প্রকম্পিত হইবে এবং পর্বতসমূহ বহমান বালুকারাশিতে পরিণত হইবে।
اِنَّاۤ اَرۡسَلۡنَاۤ اِلَيۡكُمۡ رَسُوۡلًا ۙ شَاهِدًا عَلَيۡكُمۡ كَمَاۤ اَرۡسَلۡنَاۤ اِلٰى فِرۡعَوۡنَ رَسُوۡلًا ؕ﴿۱۵﴾
৭৩-১৫ : আমি তোমাদের নিকট পাঠাইয়াছি এক রাসূল তোমাদের জন্য সাক্ষীস্বরূপ যেমন রাসূল পাঠাইয়াছিলাম ফির‘আওনের নিকট,
فَعَصٰى فِرۡعَوۡنُ الرَّسُوۡلَ فَاَخَذۡنٰهُ اَخۡذًا وَّبِيۡلًا﴿۱۶﴾
৭৩-১৬ : কিন্তু ফির‘আওন সেই রাসূলকে অমান্য করিয়াছিল, ফলে আমি তাহাকে কঠিন শাস্তি দিয়াছিলাম।
فَكَيۡفَ تَتَّقُوۡنَ اِنۡ كَفَرۡتُمۡ يَوۡمًا يَّجۡعَلُ الۡوِلۡدَانَ شِيۡبَا ۖ﴿۱۷﴾
৭৩-১৭ : অতএব যদি তোমরা কুফরী কর তবে কি করিয়া আত্মরক্ষা করিবে সেই দিন যেই দিনটি কিশোরকে পরিণত করিবে বৃদ্ধে,
اۨلسَّمَآءُ مُنۡفَطِرٌ ۢ بِهٖؕ كَانَ وَعۡدُهٗ مَفۡعُوۡلًا﴿۱۸﴾
৭৩-১৮ : যেই দিন আকাশ হইবে বিদীর্ণ। তাঁহার প্রতিশ্রুতি অবশ্যই বাস্তবায়িত হইবে।
اِنَّ هٰذِهٖ تَذۡكِرَةٌ ۚ فَمَنۡ شَآءَ اتَّخَذَ اِلٰى رَبِّهٖ سَبِيۡلًا﴿۱۹﴾
৭৩-১৯ : নিশ্চয়ই ইহা এক উপদেশ, অতএব যে চায় সে তাহার প্রতিপালকের পথ অবলম্বন করুক!
اِنَّ رَبَّكَ يَعۡلَمُ اَنَّكَ تَقُوۡمُ اَدۡنىٰ مِنۡ ثُلُثَىِ الَّيۡلِ وَ نِصۡفَهٗ وَثُلُثَهٗ وَطَآٮِٕفَةٌ مِّنَ الَّذِيۡنَ مَعَكَؕ وَاللّٰهُ يُقَدِّرُ الَّيۡلَ وَالنَّهَارَؕ عَلِمَ اَنۡ لَّنۡ تُحۡصُوۡهُ فَتَابَ عَلَيۡكُمۡ فَاقۡرَءُوۡا مَا تَيَسَّرَ مِنَ الۡقُرۡاٰنِؕ عَلِمَ اَنۡ سَيَكُوۡنُ مِنۡكُمۡ مَّرۡضٰىۙ وَاٰخَرُوۡنَ يَضۡرِبُوۡنَ فِى الۡاَرۡضِ يَبۡتَغُوۡنَ مِنۡ فَضۡلِ اللّٰهِۙ وَاٰخَرُوۡنَ يُقَاتِلُوۡنَ فِىۡ سَبِيۡلِ اللّٰهِ ۖ فَاقۡرَءُوۡا مَا تَيَسَّرَ مِنۡهُ ۙ وَاَقِيۡمُوا الصَّلٰوةَ وَاٰتُوا الزَّكٰوةَ وَاَقۡرِضُوا اللّٰهَ قَرۡضًا حَسَنًا ؕ وَمَا تُقَدِّمُوۡا لِاَنۡفُسِكُمۡ مِّنۡ خَيۡرٍ تَجِدُوۡهُ عِنۡدَ اللّٰهِ هُوَ خَيۡرًا وَّاَعۡظَمَ اَجۡرًا ؕ وَاسۡتَغۡفِرُوا اللّٰهَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ غَفُوۡرٌ رَّحِيۡمٌ﴿۲۰﴾
৭৩-২০ : তোমার প্রতিপালক তো জানেন যে, তুমি জাগরণ কর কখনও রাত্রির প্রায় দুই - তৃতীয়াংশ, কখনও অর্ধাংশ এবং কখনও এক - তৃতীয়াংশ এবং জাগে তোমার সঙ্গে যাহারা আছে তাহাদের একটি দলও এবং আল্লাহ্ই নির্ধারণ করেন দিবস ও রাত্রির পরিমাণ। তিনি জানেন যে, তোমরা ইহা পুরাপুরি পালন করিতে পারিবে না, অতএব আল্লাহ্ তোমাদের প্রতি ক্ষমাপরবশ হইয়াছেন। কাজেই কুরআনের যতটুকু আবৃত্তি করা তোমাদের জন্য সহজ, ততটুকু আবৃত্তি কর। আল্লাহ্ জানেন যে, তোমাদের মধ্যে কেহ কেহ অসুস্থ হইয়া পড়িবে, কেহ কেহ আল্লাহ্র অনুগ্রহ সন্ধানে দেশ ভ্রমণ করিবে এবং কেহ কেহ আল্লাহ্র পথে সংগ্রামে লিপ্ত হইবে। কাজেই তোমরা কুরআন হইতে যতটুকু সহজসাধ্য আবৃত্তি কর। অতএব সালাত কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং আল্লাহ্কে দাও উত্তম ঋণ। তোমরা তোমাদের নিজেদের মঙ্গলের জন্য ভাল যাহা কিছু অগ্রিম প্রেরণ করিবে তাহা তোমরা পাইবে আল্লাহ্র নিকট। উহা উৎকৃষ্টতর এবং পুরস্কার হিসাবে মহত্তর। আর তোমরা ক্ষমা প্রার্থনা কর আল্লাহ্র নিকট; নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।